بسم الله الرحمن الرحيم
Sexual harassment
যৌন হয়রানী, ধর্ষণ, হত্যা ইত্যাদির শিকার হচ্ছে আমাদের
গৃহ পরিচারিকারা, স্কুল কলেজ এর ছাত্রীরা, কোন কোন ক্ষেত্রে শিক্ষীকারা, এমন
কি কন্যা শিশুরাও নির্যাতন থেকে বাদ
যাচ্ছে না ।
আমাদের সন্মানিত মহিলাদের আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজ
ভোগের সামগ্রী বানীয়ে ফেলিয়াছে । কাউকে অত্যাচার করা হচ্ছে চাকরী দেওয়ার নাম করে,
কাউকে ভাল স্কুল কলেজে ভর্তির নামে, কাউকে বিয়ে করার কথা বলে, কাউকে আবার বিভিন্য
ভাবে উপকার করার কথা বলে । গৃহ পরিচারিকারাদের জন্য এটা নিত্যনইমিত্তিক ঘটনা । যেন
এটা গৃহস্বামীর অধিকার হয়ে দারিয়েছে । এমন
মানসিক অসুস্থতা উচ্চ শিক্ষিত, অশিক্ষিত, কিশোর, যুব, বয়স্ক
সবাইকে যেন এ নেশায় পেয়ে বসেছে । স্কুল কলেজের শিক্ষক, ছাত্র, কর্মকর্তা,
কর্মচারী, ব্যাবসায়ি, যানবাহনের ড্রাইভার, হেল্পার, বাসার কেয়ার টেকার, বাসার
পুরুষ করমচারি/দারয়ান, নাইট গার্ড, খেলোয়াড়,
সেবাদান কেন্দ্র, চলচিত্র জগত, স্কুল/কলেজের, মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র, মাদ্রাসা/মসজিদের
শিক্ষক, কেহই বাদ যাচ্ছে না । পত্রিকা খুললেই বড় বড় হেড লাইনে এসব দেখা যায় । মনে হচ্ছে আমরা যেন আবার সেই অন্দকার
যুগে ফিরে যাচ্ছি । আমাদের মিডিয়া/পত্রিকাগুলোর এসব খবর প্রকাশ করতে এবং একই খবর
বারে বারে প্রকাশ করাও যুক্তিযুক্ত । যদিও এতে করে পুরো পরিবারটির সামাজিক মান/মরজাদার ক্ষতি
হতে পারে! কোন একজনের অন্যায়ের জন্য পুরো পরিবারকে suffer করতে হয় । যদিও
এটা কারো কাম্য না । তাই, এসব ব্যাপারে বিশেষ করে সছুল/কলেজ-এর ছেলে/মেয়েদের
দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে । পরিবারের মায়ের দায়িত্ব অধিক । মাকে সর্বদা সতর্ক
থাকা জরুরী । ছেলে/মেয়েদেরা কোথায় যায়, কার কার সাথে মেলামেশা করে, তাঁদের চলা-ফেরা,
ব্যাবহার, পোশাক পরিচ্ছদ ইত্যাদি অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে । রাস্তায় অনেক মাকে দেখা
যায় নিজে পর্দা মানছেন না, মেয়েকেও সেইভাবে চলতে সাহায্য করছেন বা বাধ্য করছেন । এটা ঠিক নয় ! মা
বাবাকে বা পরিবারের বড়দের দায়িত্ত সব সময় ছোটদের প্রতি খেয়াল রাখা । কথাও বেড়াতে
যেতে বা বন্দুর বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে সে কোথায় যায় সে দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ । স্কুল/কলেজ
থেকে দেরি করে বাড়ি ফিরলে তাঁকে জওয়াব দিহিতার আওতায় আনা উচিৎ, এতে করে তাঁর মনে
একটা ভয় কাজ করবে এবং সে সময়মত বাড়ীতে ফেরার চেস্টা করবে । মোবাইল ফোন আর একটা সমস্যা ! রাস্তায় বা
বাসে দেখা যায় ছেলে মেয়েরা সিটে বসেই মবাইল-এ যা ইচ্ছে কথা বলছে ! তার আসে পাশে যে
আরও লোকজন আছে সে দিকে কোন খেয়াল নেই ! তার মা/বাবার বিষয়ী লোক জন তার পাশে বসা, সে দিকে কোন খেয়াল নাই ! সে তার
বন্ধুর সাথে free style-এ কথা বলে
যাচ্ছে, অনৈতিক কথা বার্তা বলতেও দ্বিধা করছে না । কোণ লজ্জ্যা বোধ নেই ! এই সব ছেলেমেয়েদের কর্মজীবনেও এই রকম অব্যাস
থাকবে ! তাই দেখা যায় অনেক অফিস-এ কিছু কিছু লোক Senior-দের সামনেও অনৈতিক
কথা বার্তা বোলতে কোন দ্বিধা করে না । তাদের
কোন পরিবর্তন হবে না এবং সেখানেও তাঁরা Senior-দের ভোগাবে ! এ
জন্য দরকার ছোট থেকে তাদের ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা । কোন ধর্ম্যই অনৈতিকতাকে
প্রসরয় দেয়া না । আর লজ্জা একটা বড় গুন । যার লজ্জ্যা নেই তার ঈমান নেই
বলে একটা কথা আমাদের ইসলাম ধর্মে/সমাজে চালু আছে । শুধু নামে মুসলমান হলেই হবে না
। আল্লাহ্কে বিশ্বাস করার সাথে সাথে আল্লাহ্র আদেশ নিশেদ মানতে হবে । নবিকে
মানতে হবে । ভাল কাজে সহযোগিতা এবং মন্দ কাজে বাধাদান করতে হবে । অন্যদের - ছোটদের
বোড়দের সাথে সুন্দর ব্যাবহার করতে হবে, বড়দের সন্মান জানাতে হবে । এবং সত্যিকার
ভাবেই একজন মুসলমান এবং সুনাগরিক হতে হবে । সাথে সাথে আমাদের স্মাজে বা কোন
সম্ভ্রান্ত পরিবারে যেন এরকম ঘটনা না ঘটে তার জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন করতে হবে (ঐ
পরিবারের কোন সদস্যর মধ্য খারাপ কিছু চোখে পড়লে সেটা পরিবারের কর্তা ব্যাক্তিকে
জানান)।
আমরাতো সকলেই একটা পরিবার/সমাজে বাস করি, তাই আমাদের
উচিৎ পারিবারিক/সামাজিক ভাবে এসব প্রতিরোদ করা । জে সব
ব্যাক্তি/পরিবার এ সব কুৎসিত কাজের সাথে জড়িত তাদেরকে সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে
। দরকার আমাদের ভিতরকার পসুত্যকে জবাই করা, দরকার সয়তানের তাবেদারি না করা, দরকার খারাপ
চিন্তা মুক্ত এবং পবিত্র থাকা, অলশ জীবন যাপন না করা । কারণ অলশ মস্তিস্ক সয়তানের
কারখানা, খারাপ (কুচিন্তধারি) বন্ধুদের এড়িয়ে চলা, সামাজিক সচেতনতা, দরকার আমাদের
চরিত্রের পরিবর্তন, দরকার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা । দরকার মহিলাদের পোশাক পরিচ্ছেদর
পরিবর্তন, চলা ফেরায় শালীনতা বজায় রাখা, কুর’আন-সুন্নাহ ভিত্তিক জীবন/সমাজ গঠন করা
এবং কুর’আন-সুন্নাহ ভিত্তিক বিচার প্রতিষ্ঠা করা ।
পবিত্র কুর’আনে ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু আল্লাহ (সুবঃ)
বলেন -
তোমরা ব্যাবিচারের ধারে কাছেও যেওনা, সিঃসন্ধেহে এ হচ্ছে
একটি অশস্যিল কাজ এবং নিকৃষ্ট পথ । আল্লাহ্ যার হত্যা নিসেদ করেছেন যথারত কারণ
ছাড়া তাঁকে হত্যা করো না । কেউ অন্যায়ভাবে নিহত হলে তাঁর উত্তরাধিকারীকে আমি প্রতিসোদের অধিকার দিয়েছি, কিন্তু হত্যার ব্যাপারে
সে যেন বাড়াবাড়ি না করে, নিশ্চয়ই সে সাহায্য প্রাপ্ত । -পবিত্র কুর’আন ১৭ঃ৩২-৩৩
বাবিচারিনি নারি ও
বাবিচারি পুরুষ তাঁদের উভয়কে একশটি করে বেত্রাঘাত করবে, আল্লাহর দ্বীনের
(আদেশ প্রয়োগের) ব্যাপারে তাদের প্রতি কোন রকম দয়া যেন তোমাদের পেয়ে না বশে, যদি
তোমরা আল্লাহতালা ও পরকালের ওপর ঈমান এনে
থাক, (তাহলে) মোমেনদের একটি দল এ শাস্তি প্রত্যক্ষ করার জন্য যেন (সেখানে থাকে) ।
-পবিত্র কুর’আন ২৪ঃ২
কোন বিবাহিত ইস্ত্রি-পুরুষ এরূপ করলে তাঁহাদের
জন্য বিধান হচ্ছে রজম করা । - হাদিস (সহি বুখারি) ।
(হে নবী,
একইভাবে) তুমি মোমেন নারীদেরও বোলো, তারা যেন তাঁদের দৃষ্টিকে নিম্নগামী করে রাখে
এবং নিজেদের লজ্জাস্তান্সমুহের হেফাজত করে, তারা যেন তাঁদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না
করে বেড়ায়, তবে তাদের (শরীরের যে অংস এমনই) খোলা থাকে তার কথা আলাদা, তারা যেন
তাঁদের গ্রীবা ও বক্ষদেশ মাথার কাপড় দ্বারা
আবৃত করে রাখে, তারা যেন তাঁদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, তাঁদের ছেলে, তাঁদের
স্বামীর আগের পক্ষের ছেলে, তাঁদের ভাই, তাঁদের ভাইয়ের ছেলে, বনের ছেলে, তাঁদের
সচরাচর মেলামেসার মহিলা, নিজেদের অধিকারভুক্ত সেবিকা, তাঁদের অধিকারভুক্ত এমন পুরুষ
জাদের মহিলাদের নিকট থেকে কিছুই কামনা করার নেই, অধবা এমন শিশু জাদের মহিলাদের গোপন
অঙ্গ সম্পর্কে কন ধারনা নাই, (এসব মানুষ ছাড়া তাঁরা যেন তাঁদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, (চলার সময়) জমিনের উপর
তাঁরা যেন এমন ভাবে পা না রাখে - যে সৌন্দর্য তাঁরা গোপন রেখেছিল তা পায়ের আওয়াজে
লোকদের নিকট প্রকাশ হয়ে যায়; হে ইমান্দার
লোকরা ক্রুটি বিচ্যুতির জন্য তুমরা সবাই আল্লাহর দরবারে তওবা কর, আশা করা যায়
তুমরা নাজাত পাবে । -পবিত্র
কুর’আন ২৪ঃ৩১
তোমাদের অধীনস্থ দাসীদের যারা সতী সাদ্ভি থাকতে চায়,
নিছক পার্থিব ধন সম্পদের আশায় কখনো তাঁদের ব্যাবিচারে বাধ্য করিওনা; যদি তোমাদের
কেউ তাঁদের (এ ব্যাপারে) বাধ্য করে, (তাহলে তাঁরা যেন আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রাথনা
করে), কারণ তাঁদের এভাবে বাধ্য করার পরেও (তওবাকারিদের প্রতি) আল্লাহতা’লা
(সবসময়ই) ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু । -পবিত্র কুর’আন ২৪ঃ৩৩
আর তাঁদের জন্য তওবা নেই, যারা আজিবন
শুধু গোনাহের কাজ করে, এভাবে একদিন
তাঁদের কারো
দড়জায় মৃত এসে
হাজির হয়,
তক্ষণ সে বলে হে
আল্লাহ্ আমি
তওবা করলাম । ৪ঃ১৮।
কিছু একটা অঘটন ঘটলেই সবাই
মিলে আইন সশৃঙ্খলা বাহিনীকে দোষারোপ করা ঠিক নয় । আগে নিজ দায়িত্ব পালন করা উচিৎ । আইন
সশৃঙ্খলা বাহিনীকে সত্য ঘটনা অবহিত করা উচিৎ এবং তাঁহাদের সহযোগিতা কামনা করা উচিৎ ।
আমাদের আইন সশৃঙ্খলা বাহিনীর
তৎপরতা অবশ্যই উৎসাহজনক । কিন্তু তাঁহাদের পক্ষে প্রতি ঘরে ঘরে পাহারা দেয়াতো
সম্ভব নয় ? তাঁহাদের আমাদের প্রত্যাশা
তাঁহারা যেন তাঁহাদের উপর অর্পিত দায়িত্য সঠিক ভাবে পালন করেন । Victim যেন
তাঁর সামাজিক মর্যাদা অখুন্য রাখতে পারেন, তাঁর সন্তানরা যেন উপযুক্ত ক্ষতি পূরণ
পেতে পারেন এবং সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠা পায় তার ব্যাবস্থা করা ।
Beautiful Bangladesh
No comments:
Post a Comment